ক্রীড়া ডেস্ক >>
সেমিফাইনাল আর ৭-১ স্কোরলাইনের মনে হয় আলাদা মাহত্ম আছে। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিতে ইতিহাসের বিখ্যাত ৭-১ স্কোরলাইনে নাস্তানাবুদ হয়েছিল বিশ্বের বিখ্যাত ফুটবল দল ব্রাজিল। এবার সেই স্কোরলাইনে নিজেদের জন্য স্মরণীয় করে রাখলো বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। তবে ব্রাজিলের জায়গায় নয়, বাংলাদেশ দল নাম লেখিয়েছে জার্মানদের জায়গায়। প্রথমার্ধে ভুটানের জালে ৫ গোল দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ শেষে ৫-১ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ।
ঋতুপর্ণার গোলের পর ১৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তহুরা খাতুন। গোলরক্ষক খানিকটা সামনের দিকে থাকায় ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তিনি। তাতে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ায়।
২৪ মিনিটে সাবিনার গোলরক্ষককে ফাকি দেওয়া শট গোলপোস্টে বাধা পেয়ে ফিরে আসে। নিশ্চিত গোল মিস হওয়ায় হতাশায় মুখ লুকান সাবিনা। অবশ্য এর এক মিনিট না যেতেই বল জালে জড়িয়ে গোল আদায় করে নেন সাবিনা। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে।
প্রথমার্ধে দু’দফা ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল ভুটানও। তবে তাদের সেই সুযোগ একাহাতে রুখে দিয়েছেন গোলপোস্টের নিচে অতন্দ্র প্রহরী রুপনা চাকমা।
৩৪ মিনিটে আবারও তহুরার ম্যাজিক। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের বুদ্ধিদীপ্ত শটে জাল কাঁপান তিনি। তাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। এক হালি গোল হজম করে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় ভুটান। এর দুই মিনিট না যেতেই ফের গোল। এবার গোলপোস্ট থেকে রুপনা চাকমার নেওয়া দূর পাল্লার শট মাঝ মাঠ থেকে দারুণ দক্ষতায় নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভুটানের ফুটবলারদের কাটিয়ে গোল করে আসেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। পঞ্চম দফা এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
খানিক পর অবশ্য এক গোল শোধ দেয় ভুটান। দেখি লাজুম ৪০ মিনিটে এক গোল শোধ দেন। এ দফায় আর তাকে রুখতে পারেনি রুপনা। অনেকটা একাই পেয়ে গিয়েছিলেন রুপনাকে। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল হয়নি লাজুমের। ব্যবধান কমিয়ে দলকে কিছুটা স্বস্তিতে রেখে বিরতিতে যান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ খেলার গতি কিছুটা কমালেও ৫৭ মিনিটে তহুরা আক্তার তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। এর পরে ডিফেন্ডার মাসুরা পারভিন কর্নার থেকে হেডে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচটি শেষ হয় ৭-১ ব্যবধানে, যা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের ফাইনাল স্থান নিশ্চিত করে।