এম. আকতারুজ্জামান
কালকিনি উপজেলার সাহেব রামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত স্বনামধন্য আন্ডারচর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি।
এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সুনামের সঙ্গে হাটি হাটি পা পা করে বর্তমানে একটি পরিচ্ছন্ন ও আদর্শ বিদ্যালয় উপনীত হয়েছে। ১৯৭০ সালে বিভিন্ন কারণে স্থানীয় জনসাধারণ স্কুলটির অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। আন্ডার চড়ের সে সময়কার প্রত্যেকটি মুরুব্বীরই এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠায় কমবেশি অবদান রেখেছিলেন। এ বিদ্যালয়টি নিয়ে এখন অনেকেই অনেক রকমের মন্তব্য করেন কিন্তু বাস্তব ইতিহাসে মূল যাদের বিশেষ অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে হাওলাদার পরিবার অন্যতম। কারণ তখন স্কুলের জমি দিতে কেউ রাজি হননি। মরহুম আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাওলাদার পরিবার একত্রিত হয়ে তখন জমির ব্যবস্থা করেন এবং সার্বিকভাবে অবদান রাখেন।
যাদের বিশেষ অবদান রয়েছে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় --
১)মৃত আব্দুর রশিদ হাওলাদার ২)মৃত মোসলেম উদ্দিন সরদার ৩)মৃত আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা ৪)মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদার ৫)মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদার ৬)মৃত আবুল হাসেম হাওলাদার ৭)মোসাম্মদ চেয়ার জান বিবি ৮)মৃত আব্দুল হাকিম সরদার ৯)মৃত আরজ আলী সরদার ।
এছাড়াও স্কুল প্রতিষ্ঠায় বিভিন্নভাবে আরো যাদের অবদান রয়েছে --
মোঃ আজহার উদ্দিন, মৃত মৌলভী গোলাম মোস্তফা, মৃত হাসেন আকন, মৃত দলিল উদ্দিন বেপারী, মৃত পবন খান, মৃত আব্দুল গফুর চৌকিদার, মৃত গাজী রহমান, মৃত আব্দুল মান্নান বেপারী,
টিনসেটে গড়া বিদ্যালয়টি বর্তমানে বিশাল ভবনে দাঁড়িয়ে আছে। বিপুল পরিমাণে ছাত্র ছাত্রী বর্তমানে পড়াশুনা করছে। মাদারীপুর জেলার ভিতরে আদর্শিকভাবেও অনেক এগিয়ে রয়েছে এই বিদ্যালয়টি। আগের চেয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে বিদ্যালয়টি ও স্থানীয় জনগণ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আশার আলোকবর্তিকা দেখাচ্ছে । যা প্রতিটি ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বিশেষ অবদান রাখছে ।
কিছু অসাধু ব্যক্তি ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মাঝের মধ্যেই হায়নার মতো হানাদেয় এই বিদ্যালয়টিতে। স্থানীয় জনসাধারণ ও ছাত্রছাত্রীরা সচেতন আছে বলেই কোন অপশক্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠতে পারে না। তারা বিদ্যালয়টির সম্মান রক্ষার্থে সব সময় সচেতন আছেন এবং থাকবেন। বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি খুব দ্রুততার সাথে সমাধান করে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলেই আন্ডারচর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি মাদারীপুর জেলার অন্যতম একটি বিদ্যালয়ে পরিণত হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা পাবে শিক্ষার সুযোগও উন্নত পরিবেশ ।