টেকনাফ প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের মাঝের পাড়া এলাকার সমুদ্র সৈকতে ইয়াবা উদ্ধারের অভিযানে আব্দু সূফি (৪০)নামে এক জেলে নিহত হয়েছে।নিহত জেলে মাদক পাচারকারী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
এ ঘটনায় ১লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১ মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছ। নিহত পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মারধরের শিকার হয়ে জেলে আব্দু সূফির নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত ব্যক্তি শাহপরীরদ্বীপ ৮নং ওয়ার্ড ডাংগর পাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ সৈয়দের পুত্র আব্দু সূফি। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শাহপরীরদ্বীপের সাগরে ইয়াবা উদ্ধার ও এক মাদক পাচারকারী নিহতের বিষয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে.কমান্ডার মোঃ সিয়াম উল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মিডিয়া কর্মকর্তা লে.কমান্ডার মোঃ সিয়াম উল হক জানান,গোপন সংবাদে মিয়ানমার থেকে ট্রলারে করে চোরাকারবারিদের একটি বড় মাদকের চালান পাচারের খবরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডসহ যৌথ অভিযানে যায়।
মাদক নিয়ে শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়া নৌ-ঘাট দিয়ে প্রবেশকালে কোস্ট গার্ডের টহল ওই ট্রলারটিকে থামার সংকেত দিলে,সংকেত অমান্য করে নৌকা থেকে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরিয়ে পালাতে শুরু করে। এসময় কোস্ট গার্ড দুই পাচারকারীসহ ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
হওয়ায় টেকনাফে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।জব্দকৃত ইয়াবা ও আটককৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
নিহতের ভাই আবদুল করিম বলেন,আমার ভাইকে সাঁতরিয়ে পালানোর সময় মারধর করলে পানি খেয়ে মারা যায়।এ বিষয়ে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিব এবং আমার ভাই যদি অপরাধী হয়ে থাকলে আটক করে নাই কেন? আমাদের দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করা হোক।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা প্রণয় রুদ্র বলেন, দুপুর ২ টার দিকে এক ব্যাক্তিকে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তাঁর মৃত্যু হয়।'
তার শরীরে কোন ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তবে তার শরীরে প্রচুর পানি জমা আছে।
মৃত ব্যাক্তির লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজারের মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। পরিবার থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। যদি অভিযোগ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
শাহপরীরদ্বীপের সচেতন মহলের দাবি।
এই মাদকের প্রকৃত মালিক হচ্ছে শাহপরীরদ্বীপের নুরুল আমিন মেম্বারের পুত্র ওয়ার্ড যুবদলের নেতা হেলালের। মাদক বহনকারী ট্রলার ও তাদের নিজস্ব।
তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান শাহপরীরদ্বীপ বাসী।