মোঃ ইউসুফ আলী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে সরকারী খালের উপর বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করে গভীর খাদ করে তিন ফসলী জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রয় করছেন কৃষি কর্মকর্তা মোঃসোহেল,স্থানীয় প্রভাবশালী আসাদ ও তাদের সহযোগীরা।এই মাটি কাটা খাদের ফলে ঝুঁকিতে পড়ছে এর আশেপাশের জমি,খাদের পাড় ভেঙ্গে বিলীন হতে চলেছে জমি গুলো,যার কারনে এক মাত্র জমিটিও হারাতে বসেছেন অসহায় কৃষকেরা। এ বিষয়ে সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার কুশুরিয়া ইউনিয়নের বুচাই বাড়ি এলাকায় বিশাল এলাকা জুরে মাটি কাটার যন্ত্র ভেকু(এস্কেভেটর)দিয়ে রাতের আধাঁরে চলছে মাটি লুটের মহাউৎসব।এছাড়াও এই মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক চলাচলে নষ্ট হচ্ছে কাঁচা পাকা রাস্তা,এই ট্রাক চলার কারনে রাস্তায় ধুলাবালুর প্রভাবে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ।মাটি কাটার সাথে জড়িতরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করার বা কথা বলার সাহস নেই স্থানীয়দের। জানা যায়, এই মাটি লুটের প্রধান হোতা মোঃসোহেল রানা বুচাইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।তিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলায় উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।মুঠো ফোনে তার কাছে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে কথা না বলেই ফোনের সংযোগ কেটে দিলেও তার সহযোগী মোঃ আসাদ এর কাছে জানতে চাইলে মাটি কাটার সাথে তাদের জড়িত কাথার কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা প্রশাসন এর নিকট হতে আমাদের অনুমোদন নেওয়া আছে। এ বিষয়ে ধামরাই সহকারী কমিশনার (ভূমি)সাফফাত আরা সাঈদ এর কাছে আনতে চাইলে তিনি বলেন, খালে বাঁধ দিয়ে মাটি কাটার বিষয়ে আমি অবগত নই,এরুপ কাজের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইস্থানীয় কয়েকজন বলেন গতবছর এই একই স্থান থেকে সোহেল ও তার সহযোগীরা মাটি কাটা শুরু করলে প্রশাসন বন্ধ করে দিলেও এ বছর তারা গতপ্রায় ১০/১৫ দিন যাবৎ মাটি কাটছে। ভুক্তভোগী জমির মালিক ও এলাকাবাসী এই মাটি লুটের হাত থেকে তাদের জমি রক্ষার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের জোর দাবী করেন।