গাজীপুরে ১৯ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বশস্র প্রতিরোধ দিবস পালিত এম হাসান (গাজীপুর) গাজীপুরে ১৯ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বশস্র প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরীর ঐতিহাসিক চান্দনা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে বিকাল চারটায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এড.আ ক ম মোজাম্মেল হক এম পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এড. জাহাঙ্গীর আলম। সভাপতিত্ব করেন ১৯ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের স্বশস্র প্রথম প্রতিরোধ দিবস উৎযাপন কমিটির আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার মিয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দরল বারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরী,বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্তাজ সহ আরো বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এছাড়া আরো উপস্থিত আওয়ামী যুবলীগ গাজীপুর জেলা এর আহবায়ক মোঃ,আলতাফ হোসেন, মহানগর কৃষক লগের সভাপতি মোঃহেলাল উদ্দিন,জাতীয় শ্রমিক লীগ মহানগর আহবায়ক আব্দুল মজিদ,মহিলা আওয়ামী লীগ মহানগর কমিটির সভাপতি সেলিনা ইউনুস, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা আক্তার হোসনা সহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অগ্নিঝড়া ৭ই মার্চের ভাষণে, এদেশের মানুষের মুক্তির ও স্বাধীনতার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই অনুপ্রেরণা থেকেই।১৯ মার্চ সেইদিন পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে প্রথম স্বশস্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের মুক্তিকামী মানুষ। সেইদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার মিয়ার নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনীর বন্দুকের গুলিতে শহীদ হোন হুরমত, মনু খলিফা, কানু ও নেয়ামত।এসংবাদ ছড়িয়ে পরলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে স্বাধীনতাকামী মানুষের রক্তে স্ফলিঙ্গ হয়ে জ্বলে উঠে মুক্তির নেশায়।সারা দেশে স্লোগান উঠে জয়দেবপুরের পথ ধর বাংলাদেশ স্বাধীন করো। আলোচনা সভায় মেয়র ১৯ মার্চের প্রথম স্বশস্র প্রতিরোধ দিবসে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি সকল শহীদের প্রতিও দোয়া ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে সুপরিকল্পিত ভাবে নগরায়ণ সম্ভব হয়নি। বিগত সময়ে যারা দায়িত্ব পালন করেছে তাঁরা নগরের রাস্তা ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেন নাই। আমি দায়িত্ব ভার গ্রহণ করার পর ৫৭ ওয়ার্ডে রাস্তা ড্রেনেজের কাজ করছি এতেকরে তিরিশ হাজার মানুষরে বসতভিটা ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। অনেকের গালি শুনতে হচ্ছে আজকে নগরবাসীর কষ্ট হলেও আগামী দিনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি আধুনিক সহর উপহার দিতে পারবো। এছাড়া মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবির সাথে একমত পোষণ করে ১৯ মার্চকে রাষ্ট্রিয় সিকৃতি দানে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আয়োজক কমিটিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার মিয়া তার বক্তব্যে বলেন ১৯ মার্চ সেইদিনও আজকের দিনের মতোই শুক্রবার ছিলো। সেইদিন মুক্তিকামী মানুষ মুক্তির নেশায় মত্ত ছিলো জয়দেবপুর অস্রাগার লুটের বিরুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনীকে স্বশস্র প্রতিরোধ করা হয়েছিল। রাস্তায় বেরি কেট দেয়া হয়েছিলো ঐদিন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যার যা কিছু ছিলো তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করা হয়েছে। সেদিন আমাদের অত্যাধনিক যুদ্ধাস্র না থাকলেও বুক ভরা ছিলো শাহস আর চোখে স্বাধীনতা অর্জনের জ্বলন্ত আগুন। দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের পর ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর সহ বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকা উরলো। কিপেলাম আমরা যুদ্ধ বিদ্ধসস্থ দেশ খাবার নাই অর্থ নাই চারিকে সুদু দংশাব সেস। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে পুর্নগঠনের জন্য দেশে বিদেশে সাহায্য চেয়েছেন নির্ঘুম রাত্রি পার করেছেন। যখনই দেশের অবস্থা পরিবর্তনের দিকে এগুচ্ছে তখনি এদেশের কিছু স্বাধীনতা বিরোধী কুলাঙ্গার ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট সপরিবারে ও প্রতিরক্ষায় দায়িত্ব পালনরত সরকারি কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়।আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশর রুল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলা ভাষা ও ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন বিশ্ব দরবারে সিকৃতি পেয়েছে। এছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানন ও সহযোগিতা ও বাংলাদেশ সঠিক ইতিহাসকে সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানতে ও গবেষণা করতে সরকারের কাছে আবেদন জানান সেইসাথে ১৯মার্চকে রাষ্ট্রিও সিকৃতি দানে সরকারের কাছে আবেদন জানান।