কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাটে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাটে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গাইবান্ধার পেশাদার সাংবাদিকেরা। আজ মঙ্গলবার (২৩ফেব্রুয়ারি) শহরের ডিবি রোড সংলগ্ন গানাস মার্কেটর সামনে আয়োজিত সমাবেশে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের (কাচারি বাজার)সাধারণ সম্পাদক ও জনকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আবু জাফর সাবুর সভাপতিত্বে ও সুজন প্রসাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,সিদ্দিক আলম দয়াল (মাছরাঙা টেলিভিশন) , অমিতাভ দাস হিমন(কালের কন্ঠ), রিকতু প্রাসাদ (ডিবিসি), আরিফুল ইসলাম বাবু(ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন),হেদায়তুল ইসলাম বাবু (সময় টেলিভিশন) , লুনা আফরোজ, এ এস এম বিপ্লব (বৈশাখী টেলিভিশন),কায়সার প্লাবন (এস এ টেলিভিশন), শহিদুল ইসলাম খোকন (দৈনিক আমাদের কণ্ঠ),সুমন (বার্তা বাজার), প্রমুখ।এ সময় গাইবান্ধা ফটো ও ভিডিও জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম। এ সমাবেশে বক্তারা বলেন,বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে মুজাক্কির হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলছে। এতে করে সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আগেও অনেক সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় এ ধরণের সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তিনি ঘটনার প্রকৃতি উদঘাটন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তারাসময় সংবাদের রির্পোটার হেদাতুল ইসলাম বাবু সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে বলেন,”খুটিবিহীন ঘর যেমন দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না তেমন সাংবাদিকবিহীন রাষ্ট্র চলতে পারে না। তাই সাংবাদিকদের জিবনের নিরাপত্তা,সাংবাদিক ঝুকি ভাতা,সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান। “উল্লেখ্য যে,গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ( শুক্রবার) কোম্পানীগঞ্জে রাজনীতির নামে নোংরামি কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ওরফে বাদলের অনুসারীদের সঙ্গে কাদের মির্জার অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও চিত্র ধারণকালে সাংবাদিক বুরহান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বুরহানকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সাংবাদিক বুরহান না–ফেরার দেশে চলে যান।২৫ বছর বয়সী মুজাক্কির দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে। নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করে সাংবাদিকতায় যুক্ত হন মুজ্জাকির।