নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সরকার। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ১৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টা থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে সরকার।
এতে ভোগান্তিতে পড়েন দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। এ সময় দেশের দৈনিক সংবাদপত্রের অনলাইন ও নিউজপোর্টালগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এতে মানুষ সংবাদ জানার জন্য ছাপা পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
এর পর ২৩ জুলাই রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটক বাংলাদেশে বন্ধ রাখা হয়। হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম সেবা স্বাভাবিক হয়নি।
এদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু থাকলে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। আজ রোববার বিকেল ৩টা থেকে চালু হচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেট (ফোর-জি)। রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও আপাতত বন্ধ থাকছে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম। ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঢাকায় এসে তাদের প্রতিনিধিকে সরাসরি বা লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।